মাত্র ১ সপ্তাহ চিয়া সিড খেলে শরীরে যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করবেন

মাত্র ১ সপ্তাহ চিয়া সিড খেলে শরীরে যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করবেন, সিয়াসিড: একটি সুপার ফুড, প্রায় চারটা উপাদান মিশিয়ে আমি এই সিয়াসিড টাকে রেডি করলাম। 100% রেডি হয়নি, আরো 30 মিনিট পর সিয়াসিড গুলো ফুলবে, এবং তারপর খাওয়ার উপযোগী হবে। কিভাবে বানাতে হয়, কি কিভাবে খাওয়া যায়, আরো অনেক ভাবে খাওয়া যায়। এবং এই সিয়াসিড খেলে সাত দিন যদি আপনি কন্টিনিউয়াস খান, সকালে না রাতে, আপনার শরীরে কি কি পরিবর্তন ঘটতে পারে? এই প্রত্যেকটা জিনিস নিয়ে আজকের এই সহজ আর্টিকেল। এটা কারণ এই সিয়াসিডটা একটা সুপার ফুড। এটা আপনার জীবনে একটা পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। চলুন, আমরা মেইন আর্টিকেল যাই।

সিয়াসিড কেন সুপার ফুড?

আপনাকে বুঝানোর চেষ্টা করি যে এই সিয়াসিডটা কেন সুপার ফুড বলা হয়, আপনার কি কি প্রয়োজনে আসতে পারে, আপনি কিভাবে ব্যবহার করতে পারেন। চলুন বন্ধুরা, বিশ্বাস করবেন না, আমি এই আর্টিকেল বানানোর আগে অনেকটা পড়াশোনা করেছি, এবং কিছু আর্টিকেল দেখেছি। সার্চ করে এমন এমন আর্টিকেলভাইরাল হয়েছে। আর্টিকেল টাইটেল, সিয়াসিট খেলে ম্যাজিকের মত ওজন কমে যায়। আর এই আর্টিকেল মানুষ ভরপুর ভাবে দেখছে।

আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই আপনাকে, যে এই যে আপনার হাতে মোবাইলটা আছে, তার মানে নিশ্চয়ই আপনি পাগল নয়। আপনি একটা মোবাইল চালাতে পারছেন, একটা দামি মোবাইল আপনার হাতে আছে, আপনার যথেষ্ট নলেজ আছে। তারপরেও এরা কারা যে এইসব আর্টিকেল দেখে যে একটা সিয়াসিটকেই, শুধু সিয়াসিটকেই, তার ওৎনটা কমিয়ে দেবে?

বিজ্ঞানসম্মত তথ্য

আমি বলে দেই, অডিয়েন্স কখনো যারা মোবাইল দেখে, যারা ইন্টারনেট চালায়, তারা বোকা নয়। এরকম আর্টিকেল, যেসব সাইন্টিফিক ইনফরমেশন নয়, আপনারা দেখবেন না। আমি এই আর্টিকেল আপনাদের সাইন্টিফিক ইনফরমেশন দেওয়ার চেষ্টা করব, যে সিয়াসিডটা কি, আদৌ আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে, তাহলে কতটা সাহায্য করবে, আপনি এটা কোথায় পাবেন, কারণ অনেকেই চিনে না। এবার এটার দাম কত, এবং এটার উপকারিতা কি, এটার সাইড ইফেক্ট কি। প্রত্যেকটা জিনিস সাইন্টিফিক ইনফরমেশন দেবো, মানে যে এটা বিজ্ঞানসম্মত। কোন ভুয়া কথা আমার চ্যানেলে আপনি পাবেন না।

সিয়াসিডের উৎপত্তি

দেখুন বন্ধু, এটা, এটা একচুয়ালি যে সিয়াসিডটা, নামটা শুনলেই আপনি বুঝতে পারছেন হয়তো, যে এটা আমাদের দেশে এই ফলটা, এই যে শীতটা, এটা তৈরি হয় না, এটা ফলন হয় না। এটা একচুয়ালি এই যে মেক্সিকো, এবং বিভিন্ন দেশ, আরো দু তিনটা কান্ট্রি আছে, সেখান থেকে আমাদের এইসব এরিয়াতে ইম্পোর্ট করা হয়।

সিয়াসিডের বৈশিষ্ট্য

এবং এই সিটটার অনেক বেনিফিট আছে। স্পেশালি কি কি বেনিফিট করে? এটা, এটা যখন আপনি জলের সঙ্গে মিশাবেন, এই বীজটা তার যতটা আয়তন, তার থেকে প্রায় 12 গুণ বেশি জল এবজর্ব করে নিতে পারে, এবং এটা ফুলে যায়। এবং এখান থেকেই এটা একটা জেলের রূপ ধারণ করে। কিসের রূপ ধারণ করে? একটা জেলের মত।

আরো পড়ুন: হাঁটু ব্যথা কেন হয়? বেস্ট ৪টি ব্যায়াম | হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা কমানোর উপায়

আর এই জেলের মত রূপটা যখন আপনি খাবেন, তখন এই যে জেলটা, এটা আপনার পেটের ভিতরে যে ভালো ভালো ব্যাকটেরিয়া গুলো আছে, সেগুলো এটাকে খাবার হিসাবে নেবে। আপনার সেই ভালো ভালো ব্যাকটেরিয়া গুলো এই, এই জেলগুলো খায়, খুব ভালোভাবে খায়। এবং তাদের শক্তি বাড়ে, যার মাধ্যমে আপনার যে ডাইজেসিভ সিস্টেমটা, ওভারঅল যে খাবার হজম হচ্ছে, আপনার মনিজেশন, লার্জেনশন, আপনার যে গার্ড হেলথ, যাকে বলা হয়, সেটা পুরো ইমপ্রুভ হয়।

সিয়াসিডের উপকারিতা

আপনার খাবারটা ভালোভাবে হজম হবে, এবং আপনার কনস্টিপেশন হবে না। আপনার পেট সুস্থ থাকবে। শরীরের, মানে রোগের রাজধানী বলা হয় পেটকে। আপনার পেট যদি সুস্থ থাকে, সেখান থেকে শুরু হয়। আপনার পুরো শরীরটা কিন্তু সুস্থ থাকার সম্ভাবনাটা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাছাড়া, এই সিয়াসিডের মধ্যে কিছু পুষ্টিগুনাগুন প্রচুর পরিমাণে। এটাকে একটা সুপার ফুড বলা হয়। সাইন্স যারা গবেষক আছেন, উনারা এই সিয়াসিড টাকে একটা সুপার ফুড হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। কেননা, কেন আখ্যা দিয়েছেন? এটার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যেটা আপনার পেটের যে হজম শক্তি, সেটাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

পুষ্টিগুণ

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, একটা স্পেশাল উপাদান। এই যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডটা, এটা খুবই বেশি পাওয়া যায় এই সিসিড টাতে। এবং যেটা খেলে আপনার ব্রেইন, আপনার হার্ট, দীর্ঘ জীবন সুস্থ থাকার সম্ভাবনাটা অনেক বেড়ে যাবে। কারণ, আমাদের ব্রেইনটা পুরোটাই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের অনেক প্রয়োজন। প্রোটিন থাকে প্রচুর পরিমাণে, মিনারেলস থাকে, ভাইটামিনস থাকে। এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে যেসব উপকার করে। আমি সব আপনাকে এখানে একটা একটা করে বুঝিয়ে দিচ্ছি। এবং আপনাকে বলে দেব এটা কিভাবে খেতে হয়। আপনি কোন সময় খাবেন, সকালে, বিকালে। সব সাইন্টিফিক ইনফরমেশন আপনাকে দিয়ে দেব। বন্ধু, একটু অপেক্ষা করেন।

প্রোটিনের উৎস

দেখুন, এখানে হাই প্রোটিন থাকে সি এসিডে। কেন বলছি? দেখা গেছে, একটা ডিম যদি আপনি খান, একটা ডিম তাহলে আপনি সেখানে 6 গ্রাম প্রোটিন পাচ্ছেন। কিন্তু আপনি যদি মাত্র 20, 28 গ্রাম, মানে প্রায় ধরুন দু চামচ, চার চামচ, দু চামচ যদি আপনি খান, সেখানে আপনি 47, 47 গ্রাম পাচ্ছেন। মানে, একটা ডিম না খেয়ে যদি আপনি সিয়াসিড দু চামচ খান, সেখানেও কিন্তু আপনি ডিমের সমান প্রোটিন অলমোস্ট পেয়ে যাচ্ছেন। তার মানে, বুঝতে পারছেন কতটা প্রোটিন, যেটা আপনার মাসুল বিল্ডিং, আপনার অ্যামাইনো এসিড, সবগুলোর রিকোয়ারমেন্টকে পূর্ণ করতে পারে।

মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস

এটা আপনার মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস থাকে প্রচুর পরিমাণে। এই যে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস গুলো, সচরাচর আমরা যে খাবারগুলো অনেকে খাই, কার্বোহাইড্রেট খাবার, ভাত, রুটি, অনেক সময় মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস গুলো পাওয়া যায় না। যেটা আপনি সিয়াসিডের মধ্যে পাবেন। কি কি? যেমন, আপনার ক্যালসিয়াম থাকে, ম্যাগনেসিয়াম থাকে, ম্যাঙ্গানিজ থাকে, ফসফরাস থাকে। এই যে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস গুলো, এগুলো কিন্তু আপনার যে হাড়, হাড়ের যে মানে ক্ষমতা, সেটাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মানে, আপনার বোন হেলথকে ইনক্রিস করতে সাহায্য করে।

মাত্র ১ সপ্তাহ চিয়া সিড খেলে শরীরে যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করবেন
মাত্র ১ সপ্তাহ চিয়া সিড খেলে শরীরে যে পরিবর্তনগুলো লক্ষ করবেন

অ্যান্টি-এজিং এবং ত্বকের উপকার

এটা আপনার যে এইজ, আপনার যে ধীরে ধীরে আপনার যে বয়স হচ্ছে। খুব কেউ কোন মানুষকে দেখবেন 40 বছর বয়স, তাকে 30 বছরের ছেলে মনে হয়। আর কোন মানুষকে 30 বছর বয়সে 50 বছরের বুড়া মনে হয়। এরকম মনে হয় কিনা? এই যে এজেন্টটা, এটার এগেন্স্টে ও ফাইট করে। আপনি যখন এটা খাবেন, খাওয়ার পর, এটাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে, এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে, আপনার যে সেলগুলো আছে, আপনার যে স্কিনের যে সেলগুলো আছে, ধরুন আপনি রোদ কাটছেন।

এখানে প্রচুর পরিমাণে আপনার স্কিনের উপর অত্যাচার হচ্ছে। এই স্কিনের যে সেলগুলো, সেগুলো ড্যামেজ হয়ে যায়, অক্সিজেনটিভ সেসের কারণে। আপনার চামড়ার উপরে যে সেলগুলো, সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়, মরে যায়। সেজন্য এটার উপর, এটার এগেন্স্টে ফাইট করবে। যার দ্বারা আপনি, মানে এজিং, আপনার বয়স তাড়াতাড়ি হতে দেবে না। সে চেষ্টা করবে আপনাকে যুবক, ইয়ং রাখতে। সেটা সত্যিই আপনার সাইন্টিফিকালি এটা কাজ করবে।

এবং এটা আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লামেশন যদি থাকে, কোথাও ব্যথা বেদনা, ইনফেকশন থাকে, সেটাকে কমাতে সাহায্য করবে। বুঝতে পারছেন, এটা আপনাকে হাইড্রেট রাখবে। কেন হাইড্রেশন বলছি? অনেক সময় ধরুন, আপনি সকালে রানিং করতে গিয়েছেন, কোথাও কাজ করতে গেছেন, ভারী পরিশ্রমী কাজ করছেন। আপনি এই কাজ করার আগে যদি আপনি সেই সিয়াসিডটা খেতে পারেন, আপনার জলের পিপাসা কম লাগবে। হ্যাঁ, আপনার এনার্জি বেশি থাকবে।

কেননা, এই যে এই যে সিয়াসিডটা আপনি খাচ্ছেন, এটা কি, জেলের মত। এটা আপনার এটাকে জলটাকে ধরে রাখতে সক্ষম। জলটাকে ধরে রাখতে সক্ষম। এজন্য এটা আপনার এনার্জি বৃদ্ধি করবে। এবং আপনার, মানে এটা আপনি যখন ব্যায়াম করবেন, এক্সারসাইজ করবেন, কোন ভারী পরিশ্রমিক কাজ করবেন, তখন কিন্তু আপনাকে একটা, মানে এনার্জি দিতে সাহায্য করবে।

হাইড্রেশন এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ

এবং আপনার জল খুব তাড়াতাড়ি, আপনার পিপাসা লাগবে না। আপনাকে হাইড্রেট রাখবে। মুখ, মুঠ, জিহ্বা, এগুলো শুকাবে না। আপনি বুঝতে পারবেন, আপনি এনার্জেটিক আছেন। আপনার যে ব্লাড সুগার আছে, সেটাকে কিনা কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে, সাইন্টিফিকালি হেল্প করে। যাদের ডায়াবেটিক আছে, তারাও কিন্তু এই সিয়াসিডটা খেতে পারেন। কেননা, এই ডায়াবেটিক পেশেন্ট, আপনি যখন এই সিয়াসিডটা খান, এটা একটা জেলের মত থাকার কারণে, একটা হার্ট সাবস্টেন্স ধরে রাখতে পারেন।

এটা ধীরে ধীরে ডাইজেশন হয়। খুব তাড়াতাড়ি এটা হজম হয় না। ধরুন, আপনি সকালে খেয়েছেন, এটাকে সারাদিন আপনার মনে হবে, পেটটা একদম ফুল আছে। আপনার পেটে ক্ষুধা লাগছে না। এটা হওয়ার কারণে, আপনার এই যে ধীরে ধীরে আপনার শরীর থেকে যে খাবারগুলো খান, সেখান থেকে যদি সুগার অ্যাবসর্পশন হয়, যার মাধ্যমে ইনসুলিন বাড়ে, বিভিন্ন ধরনের প্রবলেম হয়, সুগার বেড়ে যায়। এই যে ইনসুলিন রেজিস্টেন্সটা, সেটাকে কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে। সুগার অ্যাবসর্পশনটাকে কমায়। সুগার পেট থেকে এবজর্ব কম হয়, ধীরে ধীরে হয়। যার মাধ্যমে আপনার ব্লাড সুগারটা একটা স্টেবল পজিশনে থাকে। ব্লাড সুগারটা হঠাৎ করে একটা পিক নেয় না। বুঝতে পারছেন কি বলছি?

ডায়াবেটিস এবং হার্ট হেলথ

তো, ডায়াবেটিসের জন্য রোগীদের জন্য। বাট, আপনি নিশ্চয়ই আপনি জানেন কি, আপনার ডায়াবেটিস আছে কিনা। আপনার পেট বড়, আপনার ওজন বেশি। আপনি চেষ্টা করবেন এই সিসিডটা খেতে। যারা প্রি ডায়াবেটিক আছে, উনাদেরও কিন্তু হেল্প হবে। দেখুন, আপনার হার্ট হেলথকে মেইনটেইন করে। আমি বলেছি কেন? এই হার্ট হেলথটাকে, ওমেগা থ্রি এসিড আছে এটার মধ্যে।

এটা যখন আপনি খাবেন, তখন যে এলডিএল, লো ডেন্সিটি লাইপো প্রোটিন, একটা কোলেস্টেরল, যেটাকে, যেটা যদি বেড়ে যায়, যে খারাপ খারাপ কোলেস্টেরলটা। আমাদের যে হার্টের যে করোনারি আর্টারি গুলো থাকে, এটার ভিতরে কি করে, মানে বিভিন্ন ধরনের প্লাগ হয়ে যায়, চর্বি জমে যায়। তার মাধ্যমে হার্টের রোগ দেখা যায়। হার্ট অ্যাটাকের মত সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হার্টের রিস্ক বেড়ে যায়। এই এলডিএল টাকে কমিয়ে, লো ডেন্সিটি লাইফ প্রোটিনটাকে কমিয়ে, আপনার হার্ট হেলথটাকে ইমপ্রুভ করবে। এবং ভবিষ্যতে আপনার হার্টের রোগটাকে প্রিভেনশন করতে সাহায্য করে।

ত্বক এবং চুলের জন্য উপকার

এই সিয়া সিড, এই সিয়াসিডটা আপনার স্কিনকে এবং হেয়ারকেও হেল্প করে। কেননা, এটা এন্টি এজিং, এবং আপনার এন্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে, আপনার স্কিনের যে ইলাস্টিসিটি, আপনার স্কিনের যে ইলাস্টিসিটি, এইভাবে টান দিচ্ছি, এটা, এটা ইলাস্টিসিটির মধ্যে ইলাস্টিসিটি, বুঝতে পারছেন, এটাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তো, আপনার স্কিনের জন্য ভালো, হেয়ারের জন্য ভালো। অনেক উপকার করে। মেইনলি আপনার পেটের জন্য কিন্তু সিয়াসিডটা খুবই উপকারী।

ওজন ব্যবস্থাপনা

এবার চলে আসি, আপনাকে বলি, এই ওয়েট ম্যানেজমেন্টটা। ওয়েট ম্যানেজমেন্টটা বন্ধু, এটা কিন্তু এত সহজ নয়। যেভাবে আপনি সিয়াসিড খেলেন, আর আপনার ওজন কমে যাবে। যারা, আমি বলছি, যদি আপনি সত্যি ওজন কমাতে চান, তাহলে সকালে আপনি সিয়াসিডটা খেতে পারেন। এটা আপনাকে হেল্প করবে, আপনার ওয়েট লস জার্নিতে হেল্প করবে। তার মানে, এই না শুধু সিয়াসিড খেলেন সাত দিন, আর আপনার ওজন কমে যাবে। এরকম হতে পারে না।

আপনি চেষ্টা করতে পারেন, খাওয়ার আগে, বা আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জলের মধ্যে একটু লেবু দিয়ে, এটার উপরে আপনি যদি সিয়াসিড খান, তাহলে আপনি দেখতে পারবেন, আপনার একটু সারাদিন একটু ফুল ফুল মনে হবে। যে খাবারগুলো আপনি খাচ্ছেন, তার খাবারের পরিমাণটা একটু কমে যাবে। ক্যালোরি ইনটেকটা একটু কম হবে। যার মাধ্যমে আপনার কিন্তু ওজন কমার একটা সম্ভাবনাটা, যে জার্নিটা, সেটাতে একটু হেল্প হবে।

ডায়েট এবং ব্যায়ামের সাথে সমন্বয়

তার মানে, শুধু সিয়াসিডকে আপনি বসে থাকবেন না। আপনার অন্যান্য ডায়েটও মেইনটেইন করতে হবে। যেমন, আপনি ভাত কম খেলেন, সবজি বাড়িয়ে খেলেন। আরো ওজন কমানোর অনেক আর্টিকেল আছে আমার চ্যানেলে। যেমন, কিটোজেনিক ডায়েট। সেখান থেকে আপনি কিটোজেনিক ডায়েট দেখুন। এটা কিন্তু ওজন কমানোর জন্য আমার কাছে বেস্ট মনে হয়েছে। এবং মাঝে মাঝে এটা আমি নিজেও ফলো করি। কিটোজেনিক ডায়েট আমি ডেসক্রিপশনে দিয়ে দেবো।

সিয়াসিড কোথায় পাবেন?

ওজন কমানোর জন্য এটা কোথায় পাবেন? দেখুন, আমি আজকে যে সিয়াসিডটা অর্ডার করেছি, আমি তো, মানে ব্যাংক থাকি তো। এখান দিয়ে আমি অনলাইনে অর্ডার করেছি। আমাকে ঘরে এনে পৌঁছে দিয়েছে। আপনিও চাইলে অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন। কিন্তু এটা আপনি আপনার পাশের দোকান, যেসব মুদিখানার দোকান থাকে, যেখানে মসলা থাকে, বিভিন্ন ধরনের থাকে। সেইসব দোকানে গিয়ে, যদি আপনি বড় বড় যে দোকানগুলো আছে, সেখানে যদি আপনি খবর করেন, দেখবেন এখানে ফ্ল্যাক্স সিড, সিয়া সিড, এরকম ভাবে বিভিন্ন ধরনের মসলা দোকানের মধ্যে পাওয়া যায়। আপনি এখান থেকেও নিতে পারেন। আপনার ইচ্ছা, আপনি যেখান থেকে নিন, ঠিক আছে।

দাম কত?

আপনি পাবেন। দাম কত? দেখুন, জেনারেলি আমি এখানে হয়তো 200 গ্রাম এর মত নিয়েছি। এটা প্রায়, আমি আপনাকে দেখাচ্ছি, জাস্ট আমি নিয়েছি, এখানে প্রায় 200 গ্রাম আছে। যেটা প্রায় ৳19 টাকা লেখা আছে। কিন্তু আমার কাছে প্রায় ৳180 টাকার মতো নিয়েছে। হয়তো এটা অনলাইন সার্ভিস চার্জ, এগুলো সব ইনক্লুড করে। আপনি এর চেয়ে কম দামে এটা পেয়ে যাবেন। আপনি লোকাল দোকান, যেগুলো আছে, সেখানে আপনি দেখতে পারেন।

সিয়াসিডের সাইড ইফেক্ট

ঠিক আছে বন্ধু, এটার সাইড ইফেক্ট আছে। বন্ধু, যদি আপনি এক থেকে দু চামচের বেশি যদি আপনি খান, তাহলে আপনার মনে হতে পারে পেটটা একটু ফুলে গেছে। কারণ, এটা পেটের মধ্যে গিয়ে জল এবজর্ব করে, এটা ফুলে যায়। ঠিক আছে, এক থেকে দু চামচের বেশি এটা খাওয়া উচিত নয়। এবং এটা ডাইজেসিভ, আপনার কমফুট, আপনার মনে হবে একটু পেটটার মধ্যে একটু ডিসকম্মফুট, ডিসকম্মফুট ফিল হচ্ছে। এটা হতে পারে। তবে, সিয়াসিডের খুব বেশি সাইড ইফেক্ট নেই। এটা আপনার উপকারী বেশি আছে। সেজন্য, অবশ্যই চেষ্টা করবেন সিয়াসিড খাওয়ার জন্য।

কিভাবে খাবেন?

সিয়াসিড খাওয়ার জন্য, আর আপনার ডায়েটে প্রতিদিন সিয়াসিড রাখুন। প্রতিদিন এক থেকে দু চামচ খান। এটা আপনি সারাজীবন কন্টিনিউ করেন। এটার এই যে উপকারগুলো বলেছি, প্রত্যেকটা উপকারের পার্সেন্টেজটা আপনার বাড়িয়ে দেন। ঠিক আছে, এই আর্টিকেল আপনার পরিবার, আপনার মা-বাবা, বোন, বান্ধবী, সবাইকে বেশি বেশি করে শেয়ার করুন। আর যদি আপনি সত্যি ওজন কমাতে চান, আপনার পেটের চর্বি কমাতে চান, আমি এখানে আর্টিকেল দেওয়ার চেষ্টা করব, যে ওজন পেট কমানো, যদি থাকে, ভালো থাকুন।

Netbazardot.com
Netbazardot.comhttps://netbazardot.com
Medicine is the science and practice of caring for patients, managing the diagnosis, prognosis, prevention, treatment, palliation of their injury.

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest Articles